আঁধার হলে
আঁখি রূপে বহে তার তৃষ্ণার খেলা
নিবারণ করো নাকো- করো না হেলা।
তৃর্ষাত চোখ- সুরমা নদী বয়
জলাঞ্জলি দিও নাকো- দেখো সমুদয়।
উঠে মোর চক্ষে হয়ে যাও ফুল
অন্তরিক্ষে ফোঁটে থাকো বিছিয়ে শিমুল।
মেঘ পালকের দেশে যাও
প্রেমের কেয়ায় ভেসে-
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলে নৃত্য করো মেঘদলের সাথে।
আমি কভু একা থাকি সাথে লয়ে জল
নেই কানামাছি! শুকিয়ে আছে তোমার গন্ধে ভরা শাড়ীর আঁচল
গোপনে খুব কাছাকাছি প্রজাপতির প্রেম
ছুঁয়ে দিবে লজ্জাবতী নেই তো শ্যাম
খুব আড়ালে- খুব হারালে
হারিয়ে হারিয়ে আঁধার হলে।
উদাস তরী
মন আমার উদাস তরী
বয়ে যায় চোখের গাঙে,
স্রোতম্বনীর স্রোত ধারায়
মন ডুবে তরঙ্গে তরঙ্গে।
ব্যথাতার বিনাতে, আপন হাতে
প্রেমের বৈঠা বাঈ,
বাঈতে বাঈতে উদাস তরী
আপনাকে সুধাই....
ওগো মন মহাজন; প্রেমিক যে জন
কেন ভাব অঙ্গে;
মন দিলা- প্রেম দিলা
আবার কেমন করে দাও ভেঙে।
তোমার মন- তোমার ঘর
যেথায় তুমি থাকো,
ভেঙে তুমি, গড়ে তুমি
তোমার স্বপ্নন আঁকো।
তোমার নিলা- তোমার খেলা
বুঝার সাধ্য নাই
মাথার উপর তুমি আছো
আর কিছু না চাই।
যা ছিলো চাওয়ার, তা হলো না পাওয়া
এইতো জীবন,
জীবন যেন উদাস তরী-
ব্যথার সিন্ধুতে বয়ে যায় সারাক্ষণ।
নিস্তরঙ্গ জীবনযাত্রার
হৃদয়ে প্রেমিকার গন্ধ নেই
চোখে মনে আলো নেই,
বেঁচে আছি হয়ে মমি
আঘাতে ভরেছে হৃদয় ভূমি।
সে এক বিদুষী নারী
প্রেম তত্ত্ব নিগূঢ় সন্ধানী-
ভালোবেসে চুমু খেয়ে
পাথর রূপ ধরে কেমন জানি।
বুকের আদলে ভালবাসার
পরিসীমা সবসময় নগণ্য,
অতি ক্ষুদ্র তুমি, অতি সাধারণ
তবু তোমার মন, বিষ কাটার মতন।
যতদূর হেটে যাও
তত দূর ব্যাথা- যেন;
ব্যথা দিয়েই এঁকেছিলে হেঁটে যাওয়া মানচিত্রের পথটা।
আকাশ আলোতে মেঘের রূপে
আঁখিপাতে ব্যথার সিন্ধুর গড়িয়ে ঝরে,
এমন করে কাঁদে কে গো-
বিদ্যুতের বিকট শব্দপাতে।
কেমন জানি ভাঙছে
ঝরে যাওয়া পাতার মড়মড়ে আওয়াজ
শুঁকনো পাতায় শকুন হাঁটছে
পাঁজর ভাঙা হাড়ের শব্দ হচ্ছে ঠ্যাস! ঠ্যাস
(সংক্ষিপ্ত)
Social Plugin