পলাতক ধোঁয়া
ধোঁয়া। একটি প্রতিষেধক হতে পারে। যা তিন রঙের আবরণকে কীভাবে আরোহী করা যায় সেটার বিরুদ্ধ মাত্র। দাঁতে দাঁতে সংকোচন। অথচ প্রতিবেশকারী উত্তর নিয়ে যাই সিলোনীয়া ফেরীর ওপাড়ে। আছে কোষ, ছোট ছোট বৃত্তাকৃতির কতগুলো ক্ষিপ্ত বন্দীশালা। তাদের মুখ থেকে প্রেরিত কিছুক্ষণের জন্য উন্মুক্ত সংগ্রাম, পরাবাস্তববাদী সংগ্রাম। আরো ভেসে আসছে পলাতক ঝড়। তরলের স্বভাবতাড়িত করে উপরে কিংবা নিচে! এই একমাত্র শিকারের সীমা অতিক্রম করে যারা দাঁড়িয়ে আছে বছরের পর বছর। হাইওয়ের পরামর্শে তাঁরা কী কখনও লুটপাট হতে পারে? তাঁরা হতে পারে বাংলাদেশী অথবা রেড ইন্ডিয়ান। যেকোনো পরিচিতির দ্বারা তাদের নীল আকাশ বরষাকালের হৃদয় চেপে পরিত্যক্ত আজ।
এমনই আশ্চর্যের বিষম মর্মে
হাঁটাপথ, তাকিয়ে থাকি ঊর্ধ্বে—
বরফের অন্তর্জাল নিয়ে
ভিতরে ভিতরে বসবাস করে অনিচ্ছুক কীট-পতঙ্গ
আমি গাঢ় হই
অবরোধে ডুবে যাই
ভিক্ষায় রাখি কম্পমান
বৃষ্টিদিন পাশে—
অন্যরা যে গণনা করছে দোয়েলের ঝিলমিল
তাদের দৃশ্য ও প্রাচীর
ঘুমিয়ে আছে বিড়ালের দ্যোতনা থেকে
দুধে, মাংসে
মাছের কাঁটাতার ভেঙে তরুণ সমুদ্রে
ফিরবে না খরাস্রোত
শুক্লপক্ষের নির্জলা একাদশী
এই হাঁটাপথ
চৈতন্যের জাহাজ ডিঙিয়ে কোথায় নিতে পারো?
গাছের স্বপ্নে নেকড়ের ব্যর্থতা
লক্ষ্য করা হলো গাছের জীবনচক্রকে। যদি জানতে পারি মাথার উপর গাছের অনুপাত কত! কত আগ্রহের শক্তি ব্যয় করে পাতায় তৈরি করা হয় গ্রন্থাগারিক এক অধ্যায়! আমরা গাছ বিশারদ! প্রশ্ন আসে বয়স, সংলাপ, প্রতিটি ব্যর্থ পাতার ঝরে যাওয়া। তাদের সর্বত্র থাকে ঝড়, স্রোত, ভেঙে পড়া কাণ্ডের তীব্রতা থেকে সবুজ বারান্দায় গোলাপি মৃত্যু এবং প্রয়োজনের ছোট ছোট জাইগোট। কিংবা নিকটের অতিরিক্ত ক্লোরোফিল। কেঁপে ওঠে গাছ, আত্মচরিত করে, দাঁড়াতে চায় নিজের বিকৃত জীবন গ্রাসের কাছে—
কেন গাছ হলে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়?
সাঁতারের অভ্যাস নেই কেন?
এক্স-রে বা অস্ত্রোপচারে কেন নেমে আসে ভবিষ্যদ্বাণীর তৃষ্ণা?
Social Plugin