
প্রেমের সাইকোলজি
আমি বাইপোলারেও নিজের ছায়াসঙ্গী রূপে তোমাকে দেখতাম,
তুমি কোনো এক ঘুন পোঁকার মতো আমার মস্তিষ্কের শিরা উপসিরায় একছত্র অধিপত্যে ছিলে সিক্সোফেনিয়ার মতো,
প্রেমের প্যাথলজি কিংবা আমার মানসপটে ছিলে, একটি হ্যালুসিনেশন হয়ে।
আমি অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসর্ডারে,
তোমার নাম লিখতাম আকাশের বুকে,
কিংবা বৃষ্টিস্নাত কাদামাটিতে,
যা ক্ষানিকের অপেক্ষাতেই পানির সাথে মিশে যায়,
ঠিক তোমাকে বার বার ভুলেও ভুলতে না পারা আমার ডিসোসিয়েটিভ অ্যামনেশিয়ার মতো।

মধুর ফাঁদ
তুমি পদ্ম, নিঃশব্দে বন্ধ হয়ে আসা এক কৃষগহব্বর,
পাপড়ির আড়ালে এক নীরব গোধূলি।
আমি ভ্রমর, রঙিন ডানায় বাঁধা এক সুগন্ধি শৃঙ্গল।
মধুর কারাগারে যে স্বেচ্ছাবন্দি, মধুতে হারানো এক পথভোলা নাবিক।
আমি তোমার মায়ার ফাঁদে বন্দি,
যেভাবে ভ্রমর আঁটকে যায় পদ্মের মোমনরম পাতায়,
কারণ — প্রেম মানেই মুক্তির দরজা আছে জেনেও ফিরতে না চাওয়া;
— প্রেম মানেই অন্ধ আলোয় ডুবে অমলিন মৃত্যুকে ভালোবাসা।
আটশো চল্লিশ মিনিট বা পঞ্চাশ হাজার চারশো সেকেন্ডে আমার একবারও মনে হয়না আমি এই নরম পাতা চিরে বেরিয়ে যাই,
কারণ আমি তোমায় বার বার এমনভাবে আঁকড়ে ধরি যেভাবে মৃত্যুপথযাত্রী আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার শেষ সম্ভাবনাটুকু।
তোমাকে পাওয়ার আকাঙ্খা আমার এতখানিক, যেন তুমিই বিশ্বভ্রমান্ডের শেষ অক্সিজেনের ফোঁটা,
চেয়েছি এত তীব্রভাবে যেন তোমায় পাওয়াটাই ফাঁসির কাটগরায় দাঁড়ানো আসামির শেষ ফরিয়াদ।।

Social Plugin