অনামিকা রায়'র কবিতা

আমি হৃদয়ে কারবালা 

*

আমার হৃদয় যেন এক তপ্ত মরুশশ্মান     পিপাসার জলে তুমি মরীচিকা হও;  মুগ্ধ হৃদয়ার্তে তুমি জেগে থাকো   তোমার আলাপচারিতা সব যেন আমি শুনতে পাই। জ্বলন্ত অগ্নিশিখা হঠাৎ যেমন নিভে যায়    তপ্ত বাসনার অন্তরালে তুমি আমার        ভালোবাসার সম্বল।। অনন্ত পিপাসার রেখাচিত্রে স্বপ্নদেশে আমি খুঁজে বেড়াবো তোমায়,মায়ামরীচিকাময়।। আমি তোমাকে দেখি সদ্য শিশির জলে করেছ স্নান;এই পৃথিবীতে তুমি বিবর্ণ মধ্য দুপুরের মতোন তোমার চলে যাওয়া -আসা কেউ বুঝতে পারেনি।। তবুও শ্বাশত সত্যের কাছে আমি অবিরাম শিশির স্নান করি।। তুমি যেও নাকো ছেড়ে!!তুমি মরীচিকা হয়ে বেঁচো, আমি মরুশশ্মান হয়ে থাকি।।




কার ছবি 

*

জনমানবহীন বিস্তীর্ণ প্রান্তরে আমরা দুজনে;

যেখানে আমাদের নিত্যদিনের গল্প শুরু হয় সুন্দর দুর্জয় হতাশায়।

তোমাকে দেখা না দেখা,কাছে পাওয়ার পর হারানোর ভয়ে অজস্র যন্ত্রণা।

তোমার অপূর্ণতা,অসম্পূর্ণতা এবং অপরাগতা আমাকে বন্ধ্যাত্ব বানিয়েছে।

অপরাগত জীবনে তুমি আমার শ্রেষ্ঠতম অধ্যায়,ভালোবাসা অমৃতসমান

তোমার চোখে হাসি,ঠোঁট হাসে, মুখচ্ছবি সন্ধ্যা প্রদীপের ন্যায় আলোকিত। 

শিমুল -পলাশ,রক্ত কাঞ্চন ও জুঁইফুলের মুগ্ধতা মেলায়, তোমার নরম কোমল সুবাসিত দেহ।

বৃষ্টিস্নাতক দিনের মতোই তুমি সদ্যভেজা প্রেমিক,আমার প্রেমকে বারবার জাগিয়ে তোল।।

প্রেম কঠিন,প্রাপ্তি অসীম......

পৃথিবী নামক যন্ত্রেরনগরীতে একটু স্বস্তি নিয়ে বেঁচে থাকাটাই কঠিন।