বিলাপ
বিদীর্ণ হৃদপিন্ড তুমি চাইলেই মার্দনে সারিয়ে তুলতে পারতে__
অথচ,
অকাজের ফায়দা সেরে শুনশান আঁধারের গাঁয়ে হাত বুলিয়ে,
আজকাল তোমার ব্যতিব্যস্ত হয়ে কেটে যায় সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্ত।
আর আমায় গিলে খায় তীব্র জ্বর,মাথা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট।
তুমি বিভৎস ছলে ব্যতিক্রম উপায়ে অতিক্রম কর জঞ্জাল।
বয়াম ভর্তি অসুখে ডুবিয়ে রাখি দুঃখ,
আর মাঝেমধ্যে জীবনে রোদ পোহাই,
যেন ছত্রাক না পড়ে।
বিশ্বাস কর,
এই নড়বড়ে জীবন ছাড়া আমার আর কিচ্ছু নেই__
ভোমর তোমারে গান শোনায়,
নান্দনিক প্রজাপতি তোমার কংক্রিটের দেয়াল জুড়ে উড়তে থাকে অনবরত,
মৌমাছি শয়নগৃহে বানায় চাক,
তোমার আর কিসের অভাব!
আর আমার মস্তিষ্কে বিষফোঁড়া,
ফুসফুসে ক্যান্সার __
পড়ন্ত বিকেলের তাচ্ছিল্য ছাড়া স্মৃতিতে নেই আর একটিও শব্দ,
নৃশংস দিনযাপনে আমায় তুমি আর কি বা দিবে,
স্বাগত জানাও,
জানাও শুভকামনা।
চিত্র
দীর্ঘশ্বাস লিখতে গিয়ে চাপা পরি ধ্বংস স্তূপে___
কবিতার গাঁয়ে জ্বর কতকাল।
জলপট্টি নেই,
নেই জল,
প্যারাসিটামল।
চোখ নিংড়ে যেটুকু পাই,
তাতে দুঃখের পোস্টার।
তবে মনে রেখো,
একদিন যন্ত্রণার স্পষ্ট চিত্র ধরে লিখে ফেলবো জলন্ত বিষাদ,
৬৯ নং পৃষ্ঠায়__
মৃত্যু
দলবদ্ধ শকুনেরা উড়ে আসে আমায় লক্ষ্য করে,
তখন বুঝতে পারি পচে গেছে শরীরের একেকটা অংশ,
আমি মৃত,
মগজে কিলবিল করে উঠে প্রায় দগ্ধ ফড়িং,
মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয় হয়ে উঠি "ডেথ নোট" এর কিরা।
পর্যায়ক্রমে খুন করতে থাকবো অশুদ্ধ আত্মা।
এরপর আবারো আসবে শকুনের দল,
আমি নর্দমায় লুকিয়ে থাকবো,
ওরা এসে ঠুকরে ঠুকরে কবর খুঁড়বে মাটিতে,
বিস্ময়কর হাসি হেসে বিদায় জানাবো তোমাদের।
এবার গাঁয়ে বারুদ ঢেলে দাও__
Social Plugin