মৃত্যুস্মৃতি নিয়ে চা-আলাপ
বুকের কাছের চিনচিনে ব্যাথাটা শুরু হলে আপনার আসবার সময় হয়।
আমি টের পাই, গলা থেকে হামাগুড়ি দিতে দিতে ব্যথাটা পাজরের মধ্যে গ্যাটো হয়ে বসে থাকবে।
ঠিক তখন চতুর্থবারের মত আপনার চায়ের তৃষ্না পাবে। চা খেতে খেতে আপনি বলবেন...
বুঝলা মাহরুবা, চায়ের মধ্যে যে সর পরে। তাতে মানুষের রুহ ভাসে। মনে হয় ধিরেধিরে নিজেরে পান করতেছি। আমার চায়ে সর ফালাইবা না কইলাম।
চা হইবো বানের পানির মত ঈষৎ পাপী।
আষাঢ় শ্রাবণমাসে ভৈরবনদীর জল ঘোলা হয়। আমাদের কামরাঙা ছুটির শেষে পরিক্ষার গোলাপি কাগজ বাড়ি আসে।
স্যার আসেন জলকাদায় ভিজতে ভিজতে...
রুবায় পাশ কইরালাইসে রে... পাশ কইরালাইসে...
নিউটননিতী নিয়ে খসে পরে কাঠবাদাম। দূরে নিয়ে যায় ভাষাদের ছায়া। হাওয়ায় মিলায় বিকেলের হলুদাভ স্বর...
পৃথিবীর ওজন ক্রমশ ভারী হয়, এমনতর শোকসংবাদে। চায়ের কাপকে মনে হয় বিপন্ন মানুষ। চারিদিকে থইথই করছে মৃতদের ভাষা।
তলপেটে ছুড়ি দিয়ে গ্রাফিতি আঁকবার সময় আমি তাকে খুব কাছ থেকে শুনেছি।
:মৃত্যু নিয়ে আপনার অনুভুতি কেমন? এমন প্রশ্নে
স্যার বলেছিলেন_ বুকে হুল ফুটানোর ব্যাথা নিয়া আমি ঘুমায়া পরি। ভিমরুলে কামড় বসাইলে বোধ করি এমন হয়। তুমি কি আমারে একটু চুন আইনা দিবা মাহরুবা?
একা মেহগনি গাছের বিষাদ নিয়ে শ্রী দেবীও চলে গেছে আপনার শহরে। মৃত্যু স্মৃতি নিয়ে আমাদের চায়ের তৃষ্নাগুলি কেবলই গাঢ় হতে থাকে।
ছোটছোট ভাতঘুম ভেঙে গেলে মনে পরে, ফেরা হবে না। হাওয়াঘরের নিচে চাপা পরে গেছে ফিরে আসার হারিকেন রাত...
Social Plugin