মহাকাশযাত্রার শুরুতে স্পেসস্যুট পরে জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম পরীক্ষা করে উৎক্ষেপণের জন্য নির্দিষ্ট আসনে বসে ফাত্তাহ। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বুস্টার ইঞ্জিন জ্বলে ওঠে। এ সময় পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থেকে বের হতে রকেট অরবিটাল ভেলোসিটি অর্জন করে। রকেটের প্রথম অংশ জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে আলাদা হয়ে সমুদ্র বা নিরাপদ স্থানে পড়ে যায়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইঞ্জিন পর্যায়ক্রমে কাজ করে রকেটকে মহাশূন্যে পৌঁছে দেয়।
পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে ঘণ্টায় প্রায় ২৮,০০০ গতিতে পৃথিবীর কক্ষপথে চলছে মহাকাশ স্টেশন। ব্যালেন্স গ্রাভিটি ও সেন্ট্রিফুগাল ফোর্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্রি-ফলিং বা ভরশূন্যতার অনুভূতি তৈরি করে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চললেও কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয় না। একটি পূর্ণ প্রদক্ষিণে মহাকাশ স্টেশন সময় নেয় ৯০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় পৃথিবীকে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে। রিবুস্ট ম্যানুভার ও রকেট থ্রাস্টার ব্যবহার করে উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করে। সয়ুজ রকেটের মাধ্যমে প্রায় ৫ ঘণ্টায় পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে ডকিং পোর্টের মাধ্যমে ঘূর্ণায়মান মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে ফাত্তাহ।
পৃথিবীর বুকে দরিদ্র দেশ বাংলাদেশ। উন্নতির দৌড়ে পিছিয়ে থাকা, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির জন্য সংগ্রাম করা দেশ থেকে মহাকাশযাত্রার স্বপ্ন দেখে কিশোর ফাত্তাহ। আকাশের দিকে তাকিয়ে সে ভাবত, আমি কি কখনো ওখানে পৌঁছাতে পারব? আজ সে স্বপ্নের পথে হাঁটছে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন কক্ষে শূন্য মাধ্যাকর্ষণে বাতাসে ঢেউয়ের মতো ভাসছে ফাত্তাহ। হাতে মায়ের ছবি। মায়ের ছবিতে বাংলাদেশের মানচিত্র। বিদায়ের আগে মা বলেছিলেন, “তুই দেশকে ভালোবাসিস তবে নিজেকে ভুলিস না।” ফাত্তাহ জানে, এই যাত্রা শুধু তার নয়, তার দেশের, পুরো মানবজাতির। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে সে পৌঁছায় মহাকাশ স্টেশনে। সয়ুজ রকেটের কম্পনের দকল এখনো শেষ হয়নি। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান স্টেশনে ডকিং করার সময় প্রতিটি মুহূর্ত ছিল নিখুঁত। তার আগমনে ক্রুরা স্বাগত জানায়। কমান্ডার অসিমভ বলেন, “ফাত্তাহ, স্বাগতম। এই স্টেশন এখন তোমারও বাড়ি।” মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্ব ও আবহাওয়া পরিবর্তনের ওপর গবেষণা করার দায়িত্ব নিয়ে ফাত্তাহ এসেছে। জিরো গ্র্যাভিটির অদ্ভুত অনুভূতিতে সে দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
স্টেশনের বাইরের সোলার প্যানেলে ত্রুটি ঠিক করতে স্পেসওয়াক করতে হবে। ফাত্তাহ স্পেসস্যুট পরে। হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়। এয়ারলকের দরজা খুলে ধীরে ধীরে বাইরে ভেসে আসে। চারপাশে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অজস্র লীলা। নিচে আলো-আধারিময় নীল পৃথিবী, মহাসাগরের ঢেউ। তার মধ্যে মহাজাগতিক অভিযাত্রী রূপে ক্ষুদ্র মানুষ ফাত্তাহ। কসমোলজি মাথায় কাজ করে না। কে নিয়ন্ত্রণ করে সব? বিজ্ঞান আবিষ্কারের নেশায় মত্ত। ঘটে যাওয়া ঘটনার ইন্ধন দাতা কে? মহাবিশ্বের সব সংগীত কার ইঙ্গিতে চলে? সৃষ্টি জগতের বিশালতায় মগ্নতা কেটে যায়।
ক্যামেরায় সংযোগ দিয়ে রিপোর্ট পাঠায়—
“কমান্ডার, প্যানেলের সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।”
“সাবধানে থেকো, ফাত্তাহ,” অসিমভের কণ্ঠে উদ্বেগ।
হাত সামান্য কেঁপে ওঠে। সে স্থির থাকে। হঠাৎ ঝাঁকুনিতে সংযুক্ত নিরাপত্তা তার খুলে গেলে ফাত্তাহ মহাকাশে ভেসে যেতে থাকে। বাতাস বা ঘর্ষণ না থাকায় নিজে নিজে থামতে পারে না। ক্রমান্বয়ে স্পেসস্টেশন থেকে দূরে চলে যায়। স্পেসস্টেশনে সাইরেন বেজে ওঠে। সেফার নামক ক্ষুদ্র জেট প্যাকের সাহায্যে ফাত্তাহ দিক পরিবর্তনের মাধ্যমে স্টেশনের দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করে। স্পেসস্যুটে সঞ্চিত অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে না পারলে অক্সিজেন ফুরিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু অনিবার্য।
অভিকর্ষ বল থেকে পালিয়ে আসতে যে উচ্চ গতিবেগ প্রয়োজন, তা ফাত্তাহর স্পেসস্যুটে নেই। সে কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। সে জানে, এভাবে ভাসতে ভাসতে কয়েক দিনের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের টানাপোড়েনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। আশ্চর্যজনকভাবে তার স্পেসস্যুটের গতি কমে আসে। এই সুযোগে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পরম যত্নে অসীম মহাকাশে রেখে দেয়। অবাক হয়ে পতাকার দিকে তাকিয়ে থাকে। বাতাসের অভাবে না উড়লেও শূন্য মাধ্যাকর্ষণে মনোরমভাবে হেলেদুলে চলছে লাল-সবুজ পতাকা। মৃত্যু ভয় জয় করে আনন্দে ভরে উঠে মন। শান্তি অনুভব করে। পতাকাকে স্যালুট দেয়। ইতোমধ্যে স্টেশনের নভোচারীরা রোবোটিক আর্ম ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। মহাকাশে বিরল দৃশ্যের উদ্ভব হয়। রোবোটিক আর্ম ফাত্তাহকে স্পেসস্টেশনে ফিরিয়ে আনে।
দিন দিন গবেষণা এগিয়ে চলে। ফাত্তাহর কাজ বিশেষ ধরনের শৈবাল নিয়ে, যা কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে। গবেষণা সফল হলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে বসবাস সম্ভব হতে পারে। শৈবালের নমুনায় ক্ষতিকর জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সে কি নমুনা ধ্বংস করবে? নাকি ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাবে? সে কমান্ডার অসিমভের কাছে যায়।
“আমি পরীক্ষা চালিয়ে যেতে চাই।”
“এটা বিপজ্জনক!”
“আমি জানি,” সে দৃঢ় কণ্ঠে উত্তর দেয়।
মহাকাশ স্টেশনে দিন-রাতের স্বাভাবিক চক্র নেই। প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। ফলে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে একদিনে ১৬ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়! গ্রিনিচ মান অনুসরণ করে স্লিপিং ব্যাগে বাঁধা অবস্থায় ঘুমায় ফাত্তাহ যাতে বাতাসে ভেসে না যায়। জিরো গ্র্যাভিটিতে খাবারের টুকরো বাতাসে ভেসে ভেসে যায়। ফলে প্যাকেট থেকে সরাসরি স্ট্রযুক্ত পাউচে তরল খাবার খায়। ভ্যাকুয়াম টয়লেটে মূত্র ত্যাগ করে সাকশন টিউবে জমা করে। জমাকৃত মূত্র পরিশোধিত হয়ে পুনরায় পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করে। শূন্য মাধ্যাকর্ষণে শরীরের পেশি ও হাড় সবল রাখতে রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড ও ওয়েট সিমুলেটরের মাধ্যমে ব্যায়াম করে শরীর সুস্থ রাখতে চেষ্টা করে।
ফাত্তাহ প্রতিদিন নির্দিষ্ট রুটিন মেনে কাজ করে।
মহাকাশে শৈবালের আচরণ, মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে মানবদেহে পরিবর্তন এবং ভবিষ্যৎ চাষাবাদের জন্য তার গবেষণা চলে। পৃথিবীর সাথে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে যোগাযোগ করে। মহাকাশ স্টেশনের হাই-স্পিড রেডিও লিংক ব্যবহার করে নাসা-সহ অন্যান্য স্পেস এজেন্সির গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ রাখে। অবসরে বই পড়ে। ভিডিও কলে পরিবারের সাথে কথা বলে। লুকিং গ্লাসে পৃথিবীকে দেখে।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে অপার্থিব, শ্বাসরুদ্ধকর নীল গ্রহ হিসেবে দেখা যায়। স্টেশন থেকে পৃথিবীর দিকে তাকালে পৃথিবীকে উজ্জ্বল নীল বলের মতো মনে হয়। ঘূর্ণায়মান অবস্থায় সাদা মেঘের আস্তরণে মোড়ানো থাকে। বায়ুমণ্ডলকে মনে হয় পাতলা, নীলাভ আভা, যা পৃথিবীর রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। পৃথিবীর একপাশ উজ্জ্বল দেখা যায়, যেখানে সূর্য আলো দিচ্ছে। অন্যপাশ আলোর অভাবে সম্পূর্ণ অন্ধকার। রাতে বড় শহরগুলোর আলোকবিন্দু ঝলমল করে। তখন পৃথিবীকে জ্বলজ্বলে গহনার মতো দেখায়। বিশাল নীল সমুদ্র, সবুজ বনাঞ্চল এবং সোনালি মরুভূমির কন্ট্রাস্ট স্পষ্ট দেখা যায়। হিমালয়ের বরফাচ্ছাদিত শৃঙ্গ কিংবা আমাজনের গভীর সবুজ বনায়ন মহাকাশ থেকেও আলাদা করে চেনা যায়। গ্রেট ওয়াল অব চায়না, পিরামিড, গঙ্গা ও নীল নদ ইত্যাদি খুব ছোট দেখালেও চিহ্নিত করতে ফাত্তাহ করতে ভুল হয় না।
মহাকাশ থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে দেখা সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের চেয়ে ভিন্ন। কক্ষপথে থাকা মহাকাশচারী দিনে প্রায় ষোলবার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পায়। মহাকাশে সূর্যোদয় খুব দ্রুত ঘটে। প্রথমে কালো মহাশূন্য, তারপর হঠাৎ আলোর বিস্ফোরণ। সাথে সাথে নীল, কমলা ও লাল আভা দেখা যায়। সূর্যাস্তের ক্ষেত্রেও দ্রুত পরিবর্তন ঘটে।
সৌরজগতকে বিশাল, রহস্যময় শূন্যতার মাঝে বিচ্ছুরিত নক্ষত্র ও গ্রহের অসাধারণ মিশ্রণ বলে মনে হয়। পৃথিবী থেকে সূর্য হলুদ বা কমলা দেখায়। মহাকাশ থেকে বিশুদ্ধ, শ্বেত উজ্জ্বল আলোছায়ার উৎস মনে হয়। বায়ুমণ্ডল না থাকায় এর রঙ বিকৃত হয় না। সূর্যের কাছাকাছি গেলে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো মনে হয়, যেখানে সৌর ঝড়ের ভয়ংকর বিস্ফোরণ অবিরাম চলে।
চাঁদকে দেখা যায় ধূসর, বন্ধ্যা মৃত জগতের মতো। কোনো বাতাস নেই, কেবল অসংখ্য ক্রেটারের ছাপ। মঙ্গল লাল গ্রহ, ধুলোঝড় এবং বরফে ঢাকা মেরুর রাজ্য। বৃহস্পতি ও শনির দিকে তাকালে মনে হয় তারা নিজস্ব ছোট সৌরজগত নিয়ে অবস্থান করছে, যেখানে অসংখ্য চাঁদ আবর্তিত হয়। শনির বলয় অপার্থিব রূপে জ্বলজ্বল করে। সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে সৃষ্টি করে এক স্বপ্নময় দ্যোতনা। বিশাল নৈঃশব্দ্যের মধ্যে ক্ষুদ্রতম জীবনের ইঙ্গিতরূপে দূর থেকে পৃথিবী ও সৌরজগত বিন্দুর মতো মনে হয়। এভাবেই বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও মহাজাগতিক রহস্যের গভীরতায় মহাকাশ থেকে পৃথিবী ও সৌরজগতকে দেখে।
ফাত্তাহর মিশন শেষের দিকে। সে মহাকাশের শূন্যতাকে উপলব্ধি করে। ক্যাপসুলে বসে কম্পিউটার মনিটরে শেষবারের মতো মহাকাশ স্টেশনকে দেখে। ক্যাপসুল ধীরে ধীরে স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। ফাত্তাহ চোখ বন্ধ করে। মহাকাশের নীরবতা, ব্রহ্মাণ্ডের বিশালতা, সৃষ্টির মহত্ত্ব, নক্ষত্রের স্থিরতা, নিজের জীবনবোধ—সব একসাথে অনুভব করে।
ব্যাকওয়ার্ড থ্রাস্ট ব্যবহার করে ধীরে ধীরে মহাকাশযান পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের মধ্যে প্রবেশ করে। ফাত্তাহ যখন উচ্চ গতিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তখন বাতাসের সংঘর্ষে প্রচণ্ড তাপের কারণে ক্যাপসুলের বাইরের অংশ আগুনের শিখার মতো জ্বলতে থাকে। প্রচণ্ড কম্পন শুরু হয়। যে কোনো মুহূর্তে আগুন লেগে ক্যাপসুল জ্বলে যেতে পারে।
মৃত্যুর সম্ভাবনায় ফাত্তাহর চোখে জীবনের মুহূর্ত ভেসে ওঠে। শৈশবে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়া। মহাকাশ স্টেশনে শূন্য মাধ্যাকর্ষণের স্বাদ নেওয়া। জানালা দিয়ে সে পৃথিবীর নীল আভা দেখতে পায়। বিশাল, প্রাণময়, সুন্দর গ্রহ। মহাকাশের শূন্যতা থেকে ফিরে আসার আনন্দে তার চোখে জল আসে।
অবশেষে প্যারাশুট খুলে যায়। ক্যাপসুল ধীরে ধীরে নেমে আসে। গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হয়। ক্যাপসুলের গতি কমিয়ে প্যারাশুটের মাধ্যমে স্পেস ক্যাপসুল নিয়ে ধীরে ধীরে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের জলরাশিতে ল্যান্ডিং করে ফাত্তাহ। সমুদ্রের পরিচিত নীল নোনা জলে স্বস্তিবোধ করে। মহাকাশ ভ্রমণের ক্লান্তি যেন নিমিষেই শেষ। উদ্ধারকারী দলের বিশেষ যান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই সামুদ্রিক ডলফিন তাকে স্বাগত জানায়। স্বাগত জানায় সমুদ্রতটে অবস্থানরত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যগণ। সেই সাথে উপস্থিত জনতা। এ বিজয় তার একার নয়, বাংলাদেশের মানুষের, পুরো মানব জাতির।
মানুষের আনন্দ চিৎকার আর ডলফিনের মাতামাতিতে ঘুম ভেঙে যায়। অবশ হয়ে ভগ্ন হৃদয়ে বিছানায় বসে থাকে সে। মনে হয়, মানুষ শুধু পৃথিবীর জন্য নয়, মহাবিশ্বের জন্যও সৃষ্টি হয়েছে। তার মহাকাশ ভ্রমণ আপাতত সমাপ্ত হলেও মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন সমাপ্ত হয় না। স্বপ্ন বাস্তবায়নে নব উদ্যোমে নিজেকে নিয়োজিত করার শপথ করে ফাত্তাহ।
Social Plugin