মে-দিনের দুইটি কবিতা, অনন্ত পৃথ্বীরাজ

১.

রক্ত যেদিনে আগুন হয়েছিল

শ্রমিকের সংগ্রাম ও বিপ্লবের একটি দিন, মে দিন।

কুলি, মজুর, মুটে, কৃষক, শ্রমিক এক হওয়ার দিন, মে দিন।

মে দিনকে নিয়ে আর কী কবিতা লিখবো?

পুরো দিনটাই একটি কবিতা।

গায়ের রক্ত পানি হয়ে রক্তে আগুন জ্বলে

এদিন পাখির পালকে ভর করে সোনালি স্বপ্নের চেয়ে

ঠোঁটে একটুকরা খাবারের নেশা বড় হয়ে ওঠে।

মে দিনে ভালোবাসার চেয়ে ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার বড় হয়ে ওঠে।

ওহে, শ্রমজীবী ভাই

ওহে শ্রমজীবী বোন

মে দিন শুধু তোমাদের দিন।

সকল অন্যায়, অবিচার রুখে দাও।

ফুল ফুটুক নতুন দিনের, সাম্যের চাদরে জড়াও জীবন।

গাইব মোরা ধন্য করা নতুনের গান

আমরা কৃষক, আমরা শ্রমিক একটাই শ্লোগান।

২.

নিপীড়িতের জন্য প্রার্থনা

আমি নিপিড়িত মানুষের কথা বলতে এসেছি

আমি শ্রমিক ভাইদের কথা বলতে এসেছি

আমি কাজ পাগল অগ্নিকন্যাদের কথা বলে এসেছি

আমি নারী পুরুষের কথা বলতে এসেছি

আমি সবার সম অধিকারের কথা বলতে এসেছি।

আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলতে এসেছি

আমি এদেশের শ্রমজীবী মানুষের কথা বলতে এসেছি।

এদেশের উন্নয়নের চাকা কী তবে থেমে যাচ্ছে?

এদেশের মানুষের জীবন কী তবে কঠিন হচ্ছে?

এদেশের সোনালী শস্যের মাঠ কী তবে উষর হচ্ছে?

এদেশের নদীর চরে তবে কী বালিয়ারি খেলা করছে?

আজ সময় এসেছে আমাদের—হাতুরির তলায় থেঁতলে দাও

অত্যাচারীর বিষদাঁত

অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড় তোমাদের প্রতিটি হাত হোক,

শত্রুর সামনে বলিষ্ঠ তরবারি।

এটাই পণ হোক সবার মে দিবসের অঙ্গীকার।