অনন্ত পৃথ্বীরাজ'র একগুচ্ছ কবিতা


 

১.

নেক্সেট জেনারেশন 

ম্যাস পিপুলকে আমরা গণমানুষ বলে জানি

আসলে তারা জনগণ; আমাদের বাবা, কাকা;

আমাদের প্রতিবেশি, আত্মীয়-পরিজন 

মনোপলি ফেমিলির পরবর্তী প্রজন্ম এসব সম্পর্ক

একাডেমির ডিকশিনারির থেকে পড়ে জানবে।





২. 

দেহের উল্কি

মেঘের কামিজ খুলে গেলে-

বৃষ্টির কোনো লাজ-শরম থাকে না

কোমরের বাথুনি দেখে নেয় গোপন প্রেমিক

নব্য ষোড়শীর ফুলসজ্জায় উলঙ্গ নির্জনতা। 





৩. 

চাঁদ সওদাগর

বেহুলা ভাসান নৃত্য, মুদ্রায় ভুল হলে

কৈলাশে বসা মহাদেব নড়েচড়ে ওঠে।

নাক-কানে তুলো আটা লখিন্দর শব

মনসার নিখুঁত ছোবল তৃষ্ণাদগ্ধ প্রেতাত্মা

চাঁদ সওদাগরের সিদ্ধান্ত বতুলতা মাত্র।





৪.

মেয়েটির কপোলে টোল পড়ে

শ্যামবরণ মেয়েটির দিকে- 

আমি অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম।

বড্ড মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম! 

মেয়েটির ভ্রমর-কৃষ্ণ-কেশ সুবাস ছড়ায়

চুলের সৌরভে বুদ হয়ে সেদিন

আমিও তাকিয়ে ছিলাম ওর দিকে।

ভারি অপূর্ব!

কী অদ্ভুদ সুন্দর ছিল সেই দৃশ্যটি

মেয়েটি যখন মিষ্টি করে হেসেছিল

আমি অবাক হয়ে তাকে দেখলাম 

হাসলে মেয়েটির গালে টোল পড়ে!

কী নাম তোমার গো মেয়ে,

কোন ঠিকানায় বাড়ি?

তুমি যদি থাকো রাজি

আমি ঘটক পাঠাতে পারি।





৫.

বিষাদ-বেদনা

আমাদের মানুষেরা ঘুমোয়নি এখনও;

তারা জেগে স্বপ্ন দেখার বদলে-কল্পনায় 

ষোড়শী মেয়েদের বুকের ওয়্যার মাপে;

খুব গোপনে-সংগোপনে।

আমাদের নিশি কাটে প্রাত্যাহিক 

যাতনার হাস-পাসে!

ভোর তাই নতুন বার্তা আনেনা। 

পৈতৃক ঋণের  দায় উত্তরাধিকার সূত্রে 

শরীরের বোঝা ভারি করে তোলে!

ফরজ গোসলের আগে আলস্যে বাড়ে 

স্ত্রীর গঞ্জনায় রতিসুখের উল্লাস

বিষাদ-বেদনার পরিণত হয়।

জীবন ঘোঁষে আগুন বের করে, 

এসো বন্ধু দু'জন মিলে গলাগলি ধরে 

বিড়ি খাই।