তোমায় শেষ দেখেছিলাম সেই কবে বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যায় নামার এক বিষন্ন সন্ধ্যায়।
সেই সন্ধ্যায় আমাদের দেখা হওয়া মাত্র তুমি আমাকে দেখে যে মুচকি হাসি হেসেছিলে আর তোমার দু চোখ জল জল করছিল ভালোবাসায়।
আমি সেদিই বুঝে নিয়েছিলাম তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যেতেই পারো না।
তোমার চোখে খুঁজে পেয়েছিলাম আমাকে ছেড়ে যাওয়ার বিষন্নতা।
তোমার চোখে একরাশ ভালেবাসা, ছেড়ে যাওয়ার ভয়, আজীবন পাশে থাকার ব্যাকুলতা আমাকে আজও তোমার সাথে বেঁধে রেখেছে।
অতপর আমাদের প্রেম হলো। যেমন বৃষ্টির সাথে কদমের সম্পর্ক তেমন।
প্রথম দেখায় খানিকটা সাদামাটা নব্বই দশকের প্রেমিকা সাজলাম।
আচ্ছা.......এমন আধুনিক যুগে এসেও মানুষ কেনো নব্বই দশকের মতো প্রেম চায় বলতে পারো??
আমার ভালো লাগে রবিঠাকুর আর তোমার জীবনানন্দ দাশ।
জীবনানন্দ দাশের কবিতার নাটোরের বনলতা সেন হতে বললে আমাকে। আমি কি পারবো?
আমি তো এই যুগের মেয়ে যার কি না সময় কাটে মোবাইল আর কম্পিউটার ঘেঁটে।
নব্বই দশকের মতো পাইর দেওয়া শাড়ি, টিপ আর কাঁচের চুড়ি তো চোখেই দেখিনি।
তুমি বরং আমাকে নব্বই দশকের প্রেমিকা হওয়া শিখিয়ে দিও।
তোমার চোখে কিন্তু একটা মোটা ফ্রেমের চশমা থাকা চাই।
আর খানিকটা উষ্কখুষ্ক চুল। হাতে একটা আধপোড়া সিগারেট।
-মনে রেখো
Social Plugin