সঞ্জীবন বৈদ্য'র কবিতা


স্তম্ভের উচ্ছ্বাস


স্মৃতির স্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে এখানেই কোথাও

খুব বেশি দূর থেকে দেখা যায় না

কাছ থেকেও দেখা যায় না যদিও

তোমার খোলা চুলের হাওয়ায় যেনো চাবিকাঠি

প্রেম বোলে বারবার ভুল করে ফেলি আমিও

যদিও জ্ঞান আমার শূন্য

একদিন দুপুরে তোমার ছায়া পরে ছিলো

সেই স্তম্ভে, বিনীত অনুরোধে পাশ কাটিয়ে আসি

সমগ্র শহর, গ্রাম তখন দুপুরের উল্লাসে

হাসছিলো বাতাসের ঘ্রাণ

এইতো এখুনি যেনো থেমে গ্যাছে মহাপ্রলয়

জীবন্ত জীবিকায় আত্মাহুতি দিয়ে

উঠে আসতে চায় অনেকে, উঠেও আসে কেউ কেউ।

ব্যবচ্ছেদ এই হৃদয়, সুখ খুঁজে পাই হঠাৎ

বিমূর্ত রূপের আলো নিভে যায় আমার প্রেম

নাটায় আর ঘুরির মধ্যবর্তী দূরত্বের প্রেম

যেনো দেখা যায়না কিছুই

অতঃপর সন্ধ্যার শীতে

নেমে আসে সমস্ত আক্রোশের মেঘ

ব্যাবিলনীয় ইতিহাস তখন খুব ফিঁকে মনে হয়

এবং মেতে উঠি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের

কালো প্রেম নিয়ে

মননে আত্মঘাতী রাজনীতি নিয়ে

সিগারেটের চুমুক যেনো আরও জীবন্ত

সজীবতা নেই, তবুও নেই মরার সুভাষ

এভাবেই এখানে সময় অপেক্ষা করে মৃত্যুর

দেরি করে আমার ঘুম ভাঙ্গে বোলে

আমাদের কখনো দেখা হয়নি

কথা হয়েছে যান্ত্রিকতায়

গুরুত্বহীন ভাবনা তবুও আমি কবিতা বলি

বলি আমার স্বত্বাধিকারী।

আমি দাঁড়িয়ে দেখি,

স্তম্ভের উচ্ছ্বাস সবকিছু আঁকড়ে রাখে তবুও।

 

ঙ 


দুপুর দেখি, চৈত্রের রোদ

দূষিত আকাশ, অট্টালিকার তন্দ্রা।

বিষন্ন মানুষজন, ক্ষুধার্ত কুকুর

বিহ্ববল জনপদ, ব্রহ্মাণ্ডের নাচ

কতো অনুষ্ঠিত কর্তব্য, কতো অনুষ্ঠিত শোক

ফুটফাট ধরে জীবন্ত স্বপ্ন, হাঁটে।

কতো কোলাহল চাপা থাকে তৃষ্ণার্ত ঠোঁট আমার।

আরও কতোকালের তৃষ্ণা,

আষ্টেপৃষ্টে আমাকে জড়িয়ে রাখে

মরুর মন আমার, করুণা করো এবার।

কতো আলোকিত আকাশ, নক্ষত্র

কতো সজীব গাছ, অথচ কেউ ভালোবাসেনি ফুল, শুধুই সৌন্দর্য।

কাকতালীয় সংসার, চোরাবালি

আমি সাবধানে এড়িয়ে যাই

আমাদের উৎসাহ মিথ্যাে

ব্যাঞ্জণবর্ণের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি শব্দ উড়ে আসে "ঙ"।

হাস্যকর লাগে জীবন।