ভালোবাসলে হারাতে হয়
ভালোবাসা, তুমি জ্বলন্ত এক সত্তার নাম;
তুমি বুঝ না নর-নারী, বুঝ সুধুই আবেগ।
ভালোবাসা, তোমাতে ঘৃণার স্থান না থাকায়;
তোমার অনুপস্থিতিতে তুমিই ফিরে আস বারবার।
ভালোবাসা, তুমি সন্তান হয়ে পিতামাতাকে,
স্বামী হয়ে স্ত্রীকে, প্রেমিকা হয়ে প্রেমিককে
কিংবা বন্ধু হয়ে বন্ধুকে আঘাত কর অবিরাম।
ভালোবাসা, তুমি এত পাষাণ কেন?
আগুনে যে পোড়ে তার দেহ পোড়ায়;
তোমাতে যে পোড়ে, তার সবটাই পোড়ায়।
ভালোবাসা, তোমার কি কোনো আবেগ নেই!
তোমার রসানলে ডুবে ফাঁস দিল কত প্রেমিক,
চলে গেল কত বন্ধু, তবে তুমি কি হারালে?
তোমার দাবানলে আসলেই জ্বলে যাওয়ার ভয়;
তোমাতে অন্ধ হলেই হারানোর ভয়।
আমি আটলান্টিসের নাগরিক হতে চাই
শত কোটি বছর ধরে আলো জ্বলে না আমাদের নক্ষত্রে;
তোমরা তো ঠিকই আছো ভালো।
পাকস্থলীর প্রাচীর ভেদ করে বের হয়েছে অনুজীব;
তোমাদেরটা তো ফুলেফেঁপে একাকার।
গৃহপালিতদের সাথে থাকি অন্নযুদ্ধে;
তোমরা তো থাকো অট্টালিকায়।
জননীকে বলি, "মা, অ আবার কোন ধরনী!" জননী বলে,
"বাবা, ইহা অট্টালিকায় গচ্ছিত মহাসম্পদ,
গোলপাতার নিচে নয় এর স্থান।"
আমি তো আকাশের বুকের চাঁদ হতে চাইনি;
চেয়েছি অধিকার সুধুই বাছিবার!
আমি তো মাউন্ট এভারেস্ট পাড়ি দিতে চাইনি;
সুধু তার নিচে গিয়ে দাঁড়ানোর সংকল্প করেছিলাম একবার!
আজ হাতের তালুতে ক্ষত, পিঠে রক্তজবার চিহ্ন!
উদরে তিনখানা পাথর বেঁধে ছুটছি আলোর বেগে
গৃহপালিতদের পেছনে একটুকরো রুটির জন্য।
তাই ত্রিশূল হাতে আজকে বলতে চাই—
আমি আটলান্টিসের নাগরিক হতে চাই;
আর চৌচির করে দিতে চাই অবিরামভাবে গৃহপালিতদের সভ্যতা!
কবিতার নাম: বিস্বাদ
তুমি তো আজও যাওনি বাঁধার সকল প্রাচীর ভেদ করে,
তবে কেন মৌমাছির দলকে আজও ডেকে বেড়াও
তোমার ঐ রক্তজবাময় ঠোঁট আর দিগন্ত ভেদ করা চুল
দিয়ে হরিণীর বেশে?
সে তো চলে গেছে আশার সকল আলো ভেদ করে;
আর ফিরে আসবে না বলে।
তবে সে আজও ইউলোথ্রিক্স শৈবালের মতো লুকিয়ে রেখেছে নিজেকে;
জোনাকি আলোর আলোয় ডাকেনি কোনো নিশাচরকে।
আজও আনমনে কেন জানি কিটক্যাট চকলেট হাতে ধরে।
সে কি ছিল, নাকি তুমি আছ!
এ ভাবনাই আমাকে বুভুক্ষ কুকুরের মতো বাঁচিয়ে রাখে।
চেয়ে থাকি আকাশপানে, নক্ষত্ররাজির দিকে—
আর ভাবি, এ ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় কবিতার।
সে কবিতার নাম দিয়েছি ‘বিস্বাদ’।
Social Plugin