আদনান সোহাগের কবিতা


 যেহেতু ফিরে আসায় ভালোবাসা


তোমাকে আরো দু'পাঁচ দিনের দূরত্ব দেয়া দরকার-

তোমার কোলের পাশে রেখে দেয়া দরকার 

শীতকালীন বিভিন্ন দুঃখকষ্ট; 

তুমি ওঁদেরকে যত্ন নাও নিয়মমাফিক-

ঠিক যেভাবে নিজেকে যত্ন নাও স্নান ঘরে;


তোমার হাতের মতো অতটা পরিস্কার মন আমার কখনোই ছিল না; 

তোমাকে মাঝেমধ্যেই কল্পনা করতাম 

একটা পুরনো নির্জন ঘরে; তোমার কোমরের নগ্ন, জল আর বরফের দারুণ সংমিশ্রণ!

তারপর হালকা আলোয় নিজেদের বারাবাড়িতে

আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সঙ্গমের খুব কাছাকাছি।


তোমার কাছে নিজেকে যথেষ্ট অপরাধী লাগে-

আবার ঘনঘন মাথায় আসে প্রাক্তন প্রেমিকার কথা,

সেজন্য আপাতত সামান্য দূরত্ব তুমি নাও;

তারপর যদি নাম না জানা একটা বিকালের কাছে 

হঠাৎ মনে পড়া শৈশবের মতো

আমরা ফিরে আসি;

তখন বলবো তোমাকে দূরে থাকার গোটাকয়েক

কারণ; এককাপ লবঙ্গ চায়ের বিভিন্ন উপকারিতার 

সম্পর্কে।


নিজেকে বৃষ্টির জলের মতো স্পষ্ট করে 

বাকি জীবনটা থাকতে চাই তোমার আঙুলের স্পর্শে।


অসম্ভব মায়া 



দীর্ঘদিন বিড়ালের মতো যার পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছো;

ক্লান্তি নিয়ে মুখে মাখছো যার পা ভেজানো 

পুকুরের পানি-

যার কাজল চোখ খোলা চুল আর বিভিন্ন

ছেলেমানুষী তোমার ভালোলাগে;

একবার যাও তাঁর সামনাসামনি-

চোখে চোখ রেখে বলো তাকে, আমার তোমাকে ভালোলাগে;

তারপর চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকো

আরো কিছুক্ষণ তার চুলের কাছাকাছি।

অথবা;

তাঁর থেকে অনুমতি চেয়ে একটা সিগারেট ধরাও। 


মেয়েদের মন ছোটখাটো ক্যালেন্ডারের পাতা-

ওদের মনে থাকে বিভিন্ন দুর্ঘটনা;

পাড়ার কোন ছেলে তাকে দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে!


সাবধানে একটা সিগারেট শেষ করার পর-

সে যদি তোমায় গল্প শোনায় বিষণ্নতার; তাকে একটুআধটু সান্ত্বনা দিয়ে 

মনে মনে এটুকু কল্পনা করতে পারো,

পাড়ার গলি অব্দি ফিরছো এক রিক্সায়। 


তারপর;

তারপর যা হয় আরকি;

অসম্ভব মায়া নিয়ে ঘরে ফেরা।