রাজিয়া সুলতানা নুরিন'র কবিতা

১. দরজা খুলে চলে যাবো সমুদ্রে

এমন রোদ দুপুরের দিনে

হাঁটাপথ তুমি দৌড়ে যেতেই পারো।

যদি ঘুমাও

যদি পাখি ডাকে

যদি অযথা জন্মায় অনেক মানুষ

যদি এমন ঘোর দুপুরে

মরমী গানের মায়া ছেড়ে গ্রাম ছাড়ে কোনো পা ভাঙা চড়ুই।

তবে সেইসব শীতের রাতে এরচে বেশী অপরাধী কী দৃশ্য দাঁড়ায়।

তবু যদি ভাতঘুম হয়,

আজানের সঙ্গেই বাজে শাঁখ

যদি ভীড় হয় জানলায়

তবে দরজা খুলে চলে যাবো সমুদ্রে।

কারণ বিদায়বেলায় আমার সঙ্গে যাবে কেবল এক পরম বন্ধুহীনতার ভীড়, এক করুণ শব্দহীনতা।

২. পশুত্ব আর দাসত্বের তার ছিঁড়ে গেছে।

গত একত্রিশ দিনের টর্মা ভেঙে,

ভেস্তে গেছে তোমাদের জলসাঘর।

আদিম এবং অলৌকিক মিথ ব্যাবসা,

বানিজ্য শেষ হলে সিগারেট ধরাবো।

তোমার প্রেমিকার গা থেকে কেঁড়ে আনব মায়ের আদর।

পরাবাস্তবতার কারখানায়

দু'টো মোমবাতি জ্বালাও।

শোক করো-অবদমনতার

ভালোবেসে খাও গরুর মাংস।

ছলনার ফুল ফোঁটা শেষ হলে সিগারেট ধরাও।

মরা নাটকের সংলাপ বদলাও,

পাশে থেকে উঠে যাও মানুষের।

বিড়ালের হিপোক্রেসি ছেড়ে, কুত্তার হিংস্রতায় আসো।

আমি তোমাকে ভালোবাসি

এ লাইন জীবনের শেষ মিথ্যা, কথার কথা।