স্বপ্নীল চক্রবর্তী'র অকবিতা সিরিজ

 


১.

আমি সেই লাশ যারে দাফন করার জায়গা খুঁজতে যেয়ে হয়রান হতে হয়, আর তুমি জেসমিন ফুলের কাতর হৃদয় -

তোমারে শুকতে পারা যায়, তোমার কাছে থাকতে চেয়ে তোমার রাস্তা খুঁজতে গেলে - 

হয়রান হতে হয়।



২.

যে নিজেরে দিয়ে দিতে প্রস্তুত কিন্তু তোমাকে ছাড়ার প্রশ্নে আপোষহীন- 

তার সাথে রাজনীতি মারায়ে ক্রমশ সুন্দরী হইতেসো 

যেন কারো মৌলিক গানের ইন্সট্রুমেন্টাল কভার। 

বাঁকা টিপ, ফিরোজা শাড়ি তোমাকে মানায় খুব।

তোমার পায়ের কাছে থাকা সব পাথর, তোমাকে খোঁচাবে যেহেতু তুমি সিডাক্টিভ। 


অবশ্য যে রাজনীতি না জেনে করে, তার জন্য ওইটা উপকারে আসে।



৩.

যে চাইলেই পারে, অনুমতি লাগে না- সে তোমারে ছুঁইতে কতটুক উৎসুক কুসুম?

চাঁদে যে যায় সে কি আর চাঁদের আলো ওইভাবে দেখে!



৪.

অন্ধ ফকিরের গুনগুনিয়ে গান শোনানোর মতো বৃষ্টি আসে, মায়েরা জানালা বন্ধ করে না, তাদের কিশোরীবয়েস ফিরে আসে যেন- 

হাই তুলে ঘুমের জানান দেয় বৃদ্ধ বিড়াল, কবিতার বই বুকে নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে মাধ্যমিক পেরুনো তৃণাঞ্জনী রায়। আমি সেই মেয়েটার স্মৃতি থেকে হাপিস করে দেব সম্পুর্ন শৈশব তাই পিশাচের মন নিয়ে তার বাড়ির দিকে হাঁটতে বেরোলাম।