ইয়াজ উদ্দীনের কবিতা

 


শেষ দেখা 


সেদিন আকাশটা কেমন যেন ছিল!

আকাশ ধূসর, বাতাস নিঃশব্দ

মেঘগুলোও হেঁটে যাচ্ছিল ধীরে ধীরে।

বিকেলটাও ছিল অচেনা

যেন প্রকৃতি চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল মাঝখানে। 


তুমি এলে ধীরে ধীরে

হাতে ছিল না কোনো ফুল

ছিল না কোনো অভিমানও।

শুধু চোখ দুটো

অদ্ভুত শান্ত, অথচ সব কিছু বলে দিচ্ছিল। 


তুমি বসলে আমার সামনে

কথা বললে না

আমিও জিজ্ঞেস করিনি, কেমন আছো?

উত্তরগুলো আর শোনা হয়নি। 


তুমি একবার তাকালে

সেই চেনা অপলক দৃষ্টিতে

আর আমি ভেঙে পড়লাম নিঃশব্দে। 


তোমার চুল হালকা হাওয়ায় উড়ছিল

আমি সরিয়ে দিতে চাইলাম 

কিন্তু থেমে গেলাম

ভয়ে না হয় প্রতিশ্রুতিতে। 


তুমি কথা না বলে টেক্সট পাঠালে

আমি দেখিনি, পড়িনি 

তবু যেন বুঝে গেলাম

তুমি ছাড়া আর কতোটা পারা যায়? 


আমরা ভুলে গেলাম

প্রতিশ্রুতি, ভবিষ্যৎ, অপেক্ষা

ভুলে গেলাম পেছনের দিনগুলো।

তবে চোখে চোখ পড়তেই মনে হলো

আমরা একসময় একে অন্যের সব ছিলাম,

সব। 


কিছুক্ষণ পর তুমি উঠে গেলে

একবারও পেছনে না তাকিয়ে।

আর আমি?

শান্ত হয়ে বসে রইলাম

কফি ঠান্ডা হয়ে গেল

সাথে মনও। 


সেদিন ছিল আমাদের শেষ দেখা

কিন্তু প্রণয়? প্রেম?

তা শেষ হয়নি।




বিষাদ প্রেম


সে চলে গেল

একটি ভুল বোঝাবুঝির পাহাড় চাপিয়ে

এমন এক দিনে,

যখন চাঁদ একটা গল্প বলছিলো

তোমার মনে বিষাদ ছিল

আমার মনে প্রেম

দুটো আলাদা প্রাণী 

মিলন ছিল কেবল কল্পনায়।

সে চলে গেল

যতটা কাছের ছিল

ততটাই দূরে গেলো

এমন এক বেদনাহীন ভেতর

যেখানে চুপচাপ হারানোর শব্দও নেই।

সে চলে গেল

কোনো শব্দ না রেখে

কোনো অভিযোগ না তুলে

শুধু চোখে এক ফোঁটা বিষাদ

যেটা আমায় চিরকাল পোড়াবে।

প্রেমটা এখনো আছে

কিন্তু তা ফুল না, চিঠি না,গান না

সে বিষাদ

একটি দীর্ঘশ্বাস হয়ে টিকে আছে মনের কোণে।